এক বিচারককের ওএসডির দিনে অন্য বিচারকের আবেগঘন স্ট্যাটাস
বিচারক (প্রতীকী ছবি)

অসদাচরণের অভিযোগে দুই বিচারককে ‘তিরস্কার’ দণ্ড

অসদাচরণের অভিযোগে দুই বিচারককে ‘তিরস্কার’ দণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিত দুই বিচারক হলেন, জামালপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বর্তমানে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এম আলী আহমেদ এবং যশোরের সাবেক জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বর্তমানে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সম্প্রতি এ তিন বিচারককে দণ্ড দেওয়া সংক্রান্ত পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।

এম আলী আহমেদের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭ এর বিধি ২ (চ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর দায়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়।

ব্যক্তিগত শুনানি শেষে তাকে এ অভিযোগের দায়ে ‘তিরস্কার’ দণ্ড আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পরামর্শ চাওয়া হলে সুপ্রিম কোর্ট সরকারের সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করে।

এ কারণে এম আলী আহমেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় আনীত অভিযোগের দায়ে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭ এর বিধি ২ (চ) মোতাবেক ‘তিরস্কার’ দণ্ড আরোপ করা হয়।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড

অন্যদিকে মো. ওয়াহিদুজ্জামানের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর বিধি ৩ (বি) ও ৩ (ডি) অনুযায়ী যথাক্রমে ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে বিভাগীয় মোকদ্দমা রুজু করা হয়।

কারণ দর্শানোর পরিপ্রেক্ষিতে তার লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে বক্তব্য, বিভাগীয় মোকদ্দমার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

তাই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের আলোকে মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর বিধি ৪(২) (এ) অনুযায়ী ‘তিরস্কার’ দণ্ড দেওয়া হলো।