বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এপ্রেক্ষিতে সরকারি আদেশ অমান্য করে সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশযাত্রা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
আজ সোমবার (১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি কোনো সরকারি কর্মকর্তা বিনা প্রয়োজনে বিদেশে যাবে না। তিনি আরো জানান, কৃষিমন্ত্রীর পিএস নেদারল্যান্ডে কৃষিমেলায় গেছেন।
এর আগে সরকারি আদেশ অমান্য করে সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশযাত্রা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল রোববার (৩১ জুলাই) হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এ এস এম আল সনেট নামের এক ব্যক্তির পক্ষে জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন রিটটি দায়ের করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব, অর্থসচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনের বিষয়ে এদিন ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘সরকারি প্রজ্ঞাপন অমান্য করে একজন মন্ত্রীর পিএস বিদেশে গেছেন। তার মতো অনেক কর্মকর্তাই সরকারি প্রজ্ঞাপন অমান্য করে বিদেশ যাচ্ছেন। এভাবে অনেকেই সরকারি আদেশ অমান্য করছেন।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে পরিপত্র জারি করে সরকার।
পরিপত্রে বলা হয়, করোনা–পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষা সফর, এপিএ এবং ইনোভেশনের আওতামুক্ত ভ্রমণ ও ওয়ার্কশপ বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।