শুধু বয়স-শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় দণ্ডিত আসামিকে জামিন নয় : সুপ্রিম কোর্ট
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী

বিনা দোষে কারাবাস : ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন ভুক্তভোগী

ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর বিনা অপরাধে জেল খাটার ঘটনায় প্রথম কোনো ভুক্তভোগী ক্ষতিপূরণ পেলেন। বিনাদোষে ৬৮ দিন কারাগারে থাকা সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনকে ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়। একই সঙ্গে একই সাথে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিট আবেদনের ওই মামলা আর পরিচালনা করবেন না বলেও রিট আবেদনকারী পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়।

রিটকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বশির এসব তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনকে কারাগারে রাখার ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। তার মধ্যে ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হাতে পেয়েছেন আওলাদ হোসেন। এর ফলে প্রথম কোনো আসামি বিনা অপরাধে জেল খাটার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পেলেন।

উল্লেখ্য, একের পর এক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে বিভিন্ন কারাগারে রেখে এবং এক আদালত থেকে আরেক আদালতে হাজির করা হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার আওলাদ হোসেনকে। তাঁকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিতে হাইকোর্টে হাজির করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রিট করেন আওলাদের স্ত্রী।

নথিপত্র থেকে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে কক্সবাজারের একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আওলাদকে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিন আওলাদকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। জামিন আবেদন করলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আশুলিয়া) তা নামঞ্জুর করে নথিপত্র কক্সবাজারের আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।