স্ত্রীকে হত্যার দায়ে বিচারক আয়মান হ্যাগাগ এবং তার সহযোগীর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেছেন মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি। মিশরের সরকারি গণমাধ্যম আল-আহরাম রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে।
আয়মান হাগাগ নামে একজন বিচারক তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। তার স্ত্রী একটি টিভি চ্যানেলের উপস্থাপিকা ছিলেন। অন্য আরেকজন সহযোগীকে নিয়ে নির্জন একটি গ্রামে নিয়ে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করেন বিচারক আয়মান হাগাগ।
আগস্টে মিসরের ফৌজদারি আদালত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এরপর এটির অনুমোদনের জন্য গ্র্যান্ড মুফতির কাছে পাঠানো হয়।
গণমাধ্যম আল অ্যারাবিয়া জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিচারক স্ত্রীকে হত্যা করার তিন সপ্তাহ আগে দাবি করেন তার স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে গেছে। এ নিয়ে একটি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করেন।
মূলত হত্যার তিন সপ্তাহ আগে নিজেই নিজের স্ত্রীকে নির্জন একটি গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর সেখানে তাকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
হত্যা করার আগেই সেই নির্জন বাড়িতে কবর খুঁড়ে রাখেন তিনি। হত্যার পর সেখানে স্ত্রীর মরদেহ পুঁতে রেখে বিভিন্ন জিনিসপত্র রেখে দেন যেন কেউ টের না পায় সেখানে কবর আছে।
তবে বিচারকের আইনজীবীরা দাবি করেন, নিজেকে রক্ষা করতে স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি। তাদের দাবি তার স্ত্রী তাকে ছুরি দিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাস্থলে কোনো ছুরি পাননি তারা এবং হ্যাগাগ তার স্বীকারোক্তিতে আত্মরক্ষার কথা বলেননি। অন্যদিকে আল-গারাবলির স্বীকারোক্তিতেও হ্যাগাগের আত্মরক্ষার কথা পাওয়া যায়নি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা চাইলে ৬০ দিনের মধ্যে মিসরের আদালতে আপিল করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
সূত্র : আল অ্যারাবিয়া।