তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি শীর্ষক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের নিয়ে দ্যা কার্টার সেন্টারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে সিক্স সিজন হোটেলে দ্যা কার্টার সেন্টার এর তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি (AWRAIB) প্রকল্প বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ৩০ জন আইনজীবীর জন্য দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ এবং তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি।
দ্যা কার্টার সেন্টার, বাংলাদেশের চিফ অব পার্টি মিস সুমনা মাহমুদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনজন স্বনামধন্য প্রশিক্ষক তথ্য অধিকার আইন এবং স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ, ডিজিটাল রেকর্ড ব্যবস্থাপনা এবং জেন্ডার এবং নারীদের অবস্থা বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন।
প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ নারী আইনজীবীকে প্রশিক্ষণে পেয়ে কৃতজ্ঞতা ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মরতুজা আহমদ বলেন, আরটিআই (রাইট টু ইনফরমেশন) একটি সার্বজনীন আইন যা বাংলাদেশসহ আরও ১২৯টি দেশে বাস্তবায়িত হয়েছে। সুতরাং আমরা এটা বলতেই পারি আজকের বিশ্ব তথ্যের উপর নির্ভরশীল।
এ সময় তিনি অনুচ্ছেদ ৭ এবং ২১ (১) সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, এটি একটি উত্তম আইন যাতে নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আরটিআই একটি ব্যতিক্রমী আইন কারণ জনগণ এই আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে তথ্য পেতে পারে। এই আইনের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হলো প্রগতিশীলতা, জনসাধারণের তথ্যের উন্মুক্ততা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, আরটিআই আইনটি প্রয়োগ করতে প্রকাশনা ও সংরক্ষণ নীতিমালা রয়েছে তবুও যুক্তিসংগত বিধিনিষেধ এবং মোট বিবরণ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নারীরা কৃষি বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। উত্তর অঞ্চলে, গ্রামীণ নারীরা কৃষিখাতে নিয়োজিত। নারীদের মধ্যে কৃষি সংক্রান্ত তথ্য আরও বেশি প্রচারের জন্য তিনি দ্যা কার্টার সেন্টারকে সুপারিশ করেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কতগুলো প্রতিষ্ঠান নারীদের কম সুদে ও কম জামানতে ঋণ প্রদান করে সে সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করেন। দেশের নারীরা তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারবে যদি তারা অর্থনৈতিক, কৃষি এবং শিক্ষাখাতের মানদন্ড পূরণ করতে সক্ষম হয়।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের জন্য এমন কার্যকর প্রশিক্ষণ আয়োজন করার জন্য দ্যা কার্টার সেন্টারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং দ্যা কার্টার সেন্টারকে এমন গুরুত্ববহ প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘’আমি শুধু তথ্য কমিশনার হিসেবে নয় বরং একজন নারী হিসেবেও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে সম্মানিত বোধ করছি।’’