দুই বছরের প্রেম। অতঃপর পরিণয়। তবে বাধা দয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবার। স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম প্রেমিকাকে বিয়ে করলেও পরিবারের চাপে বিপাকে পরেছেন এক তরুণ।
জানা গেছে, ঢাকার ধামরাই গোপনগর লাকুরিয়া পাড়ার আনন্দ দাসের ছেলে শিশির দাস। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মো. শিশির ইসলাম নাম ধারণ করেন। এরপর একই পৌরসভার গোয়ারীপাড়ার মিলন মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন শিশির। আর এতেই বিপাকে পরেন তিনি।
ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদু ইসলামের আদালতে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) শিশিরকে জোর করে ধর্মান্তরিত এবং বিয়ের অভিযোগে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে মামলার করার জন্য নিয়ে আসেন তার চাচা বিশ্ব দাস।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের সময় শিশির জানান, পরিবার আমাকে জোর করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করতে নিয়ে এসেছেন। আমি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। মামলা করব না। আদালতের বাইরে আমার পরিবারের লোকজন আছে। বের হলেই তারা আবার আমাকে নিয়ে আটকে রাখবে।
তখন বিচারক মামলাটি গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেন এবং শিশিরকে এজলাসে প্রায় ১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকরা গেলে শিশির আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ঘটনার বর্ণনা দেন।
শিশিরের আরো বলেন, দুই বছর সম্পর্কের পর স্বেচ্ছায় আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। আমি প্রাপ্তবয়স্ক, যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা আমার আছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার মতো করে বেঁচে থাকতে সহযোগিতা চাই।
জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট পর্যন্ত স্ত্রীর সঙ্গে ছিল সে। এরপর ৩০ আগস্ট তাকে জোর করে নিয়ে যায় পরিবার। আটকে রাখে ১৭ দিন।
এদিকে শিশিরের আইনজীবী হুমায়ুন কবির জানান, বিয়ের পর শিশির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার পরিবারের হুমকির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এরপর গত ৩০ আগস্ট তার পরিবার তাকে জোর করে নিয়ে আটক রাখার পর গত ১৫ আগস্ট শিশিরের শাশুড়ি ধামরাই আমলী আদালতে একটি মামলা করেছেন, যা তদন্তাধীন। কিন্তু ছেলের পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষমতাবান হওয়ায় মেয়ের পরিবার থানা পুলিশের কোনও সহায়তা পাচ্ছে না।