অ্যাসিড নিক্ষেপের দায়ে মা-মেয়ের যাবজ্জীবন
আদালত ভবন, চট্টগ্রাম

বিচারকের মামলায় জামিন পেলেন ২ এসআই

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের, মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় অভিযোগে বিচারকের দায়ের করা মামলায় পুলিশের দুই উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পালের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন তারা। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে একই আদালতে শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা মামলা করলে দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দুইটি সোনার বার পাচারের অভিযোগে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার বাটারফ্লাই পার্ক থেকে মো. নাজমুল হাসান জুয়েল নামে এক শিশুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরের দিন ওই শিশুর বিরুদ্ধে এসআই আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে সোনার বার পাচারের মামলা করেন।

বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান পতেঙ্গা থানার এসআই সুবীর পাল। তদন্ত শেষে শিশু নাজমুলকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর শিশুটি নির্দোষ বলে রায় দেন আদালত। মামলাকে সত্য প্রমাণিত করতে এজাহারকারী তার দায়েরকৃত মামলার সমর্থনে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেন। ডি.ডব্লিউ-২ কর্তৃক দেওয়া সোনার বারের কাগজপত্র উপস্থাপন করা সত্ত্বেও তা আমলে না নিয়ে মামলা দায়ের করেন ওই পুলিশ সদস্য।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজস্ব অফিস হতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ না করে মামলার বাদি পুলিশ কর্মকর্তাকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। প্রকৃত সত্য জানার পরও মিথ্যা প্রতিবেদনের স্বপক্ষে শপথ গ্রহণপূর্বক আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করেন তিনিও।

এ মামলায় শিশুটি সম্পূর্ণ নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল তারিখ থেকে ১ মাস ৬ দিন জেল হাজতে আটক থাকার পর একই বছর ২৮ মে জামিন পায়।