রাজশাহীতে বিচারক দম্পতি খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই দম্পতিকে ভর্তি করা হয়।
বিচারক দম্পতি হলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারী ও মহানগর দায়রা জজ জয়ন্তী রানী দাস। জয়ন্তী রানীকে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে। আর জুয়েল অধিকারীকে প্রথমে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) স্থানান্তর করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল নয়টায় ওই দম্পতিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে জয়ন্তী রানীকে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ও জুয়েল অধিকারীকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তাঁদের ভর্তির কাগজে লেখা ‘ফুড পয়জনিং’। পরে জয়ন্তী রানীকে কেবিনে ও জুয়েল অধিকারীকে আইসিইউতে পাঠানো হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জয়ন্তী রানীর কেবিনের সামনে গিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ভেতরে একজন নারীকে বসে থাকতে দেখা যায়। আদালতের একজন পেশকার ছিলেন। তিনি নিজের নাম বলতেও চাননি এবং কোনো মন্তব্যও করেননি।
আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, জুয়েল অধিকারী আইসিইউতে পাঁচ নম্বর শয্যায় আছেন। তাঁর চেতনা ফিরেছে, তবে ঘুমের ভাবটা এখনো আছে।
তিনি আরও বলেন, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, তাঁরা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। কী জাতীয় বিষ, তা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। জুয়েল অধিকারীর অবস্থা আগে খারাপ ছিল, এখন তিনি শঙ্কামুক্ত।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, বিচারক দম্পতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জয়ন্তী রানীর অবস্থা অতটা খারাপ হয়নি। তিনি কথা বলতে পারছেন। তবে তাঁর স্বামীর অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাড়িতে সম্ভবত খাবারের সঙ্গে কিছু খেয়ে এটা হতে পারে।
বিচারক দম্পতি নগরের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন বলে জানিয়েছেন রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এ জন্য তাঁরা তদন্ত শুরু করেননি।