ন্যায়বিচারের দায়িত্ব পরিবার-কর্মস্থল সবখানেই রয়েছে উল্লেখ করে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে হলে সমাজের সবক্ষেত্রেই সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান এ কথা বলেন।
বিচারপতি রেজাউল হাসান বলেন, যারা সুপ্রিম কোর্টে বসে আছেন তারাই শুধু বিচারপতি নন, আপনারা যারা বিভিন্ন পদমর্যাদায় রয়েছেন তারাও একেকজন বিচারক। প্রত্যেকেরই কর্তব্য রয়েছে সুবিচার করার।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচারের দায়িত্ব পরিবার-কর্মস্থল সবখানেই রয়েছে। আপনি কি অন্যের প্রতি সুবিচার করছেন- এটি চিন্তা করতে হবে। একটি সুন্দর সমাজ গড়তে হলে সমাজের সবক্ষেত্রেই সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বিচারপতি মো. রেজাউল বলেন, প্রতিটি মানুষের উচিত অপরের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা। অন্যকে সম্মান দিলে নিজেরও সম্মান পাওয়া যায়। আর একজন মর্যাদাবান মানুষের পক্ষে কখনো ক্ষতিকর কিছু করা সম্ভব না।
তিনি আরো বলেন, যদি কখনো কোন সম্মানী ব্যক্তি খারাপ কিছু করেনও তাহলে সেটি তার ব্যক্তিজীবনই নয় বরং জাতীয় জীবনেও এর খুবই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই মানুষের সম্মান এবং মর্যাদা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
পরস্পর সম্মান, শ্রদ্ধা, আদব লেখার গুরুত্ব তুলে ধরে বিচারপতি বলেন, একটি সুশিক্ষিত জাতি ছাড়া আমরা কিছুই আশা করি না। শিক্ষা বলতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি জোর দিতে হবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আকবর আলী শেখ ও পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
এ সময় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. নাসিরুদ্দিন, বিশেষ জজ মো. মতিউর রহমান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আলোচনায় অংশ নেন ফরিদপুরের সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শাহজাহান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রমুখ।
সভায় জেলা জজশীপের বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।