আলোচিত চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিকের আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন খান বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট বাদী বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে বলা হয়, বাদী মামলাটি বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৩৮(১), ৩৮(২), ৪১ এবং ৪৬ ধারায় দায়ের করেন। আসামি হাওয়া সিনেমায় ব্যবহৃত বন্যপ্রাণী সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। বন্যপ্রাণী ব্যবহার করলে যে অপরাধ হয় এ বিষয়ে তিনি জানতেন না। তিনি সিনেমায় বন্যপ্রাণী ব্যবহার সম্পর্কে দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন। পরে বাদী তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মামলাটি প্রত্যাহার করতে সম্মতি জানায়।
এর আগে ১৭ আগস্ট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত আলোচিত চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের নামে মামলা করে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই হাওয়া চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। মুক্তির পর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত চলচ্চিত্রটির রিভিউতে জানানো হয়, এই চলচ্চিত্রে একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন চান মাঝির চরিত্রে অভিনয় করা চঞ্চল চৌধুরী।
রিভিউ প্রকাশের পর হাওয়া চলচ্চিত্রে একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখা ও একপর্যায়ে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে বন্যপ্রাণী আইন লংঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় দেশে পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা ৩৩টি সংগঠনের সমন্বিত প্রয়াস বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)।
এর পরদিন গ্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখে আইন লংঘনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান বন অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা।