করোনায় আক্রান্ত আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (ফাইল ছবি)

সংসদের আগামী অধিবেশনে পাস হবে সাক্ষ্য আইনের সংশোধনী

সংসদের আগামী অধিবেশনে সাক্ষ্য আইনের সংশোধনী পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, দুই/এক দিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হবে।

আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৪৭তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঔপনিবেশিক আমলের সাক্ষ্য আইন সংশোধন করার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উঠে। ‘এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

সংসদে উত্থাপিত সংশোধনী প্রস্তাবে আদালতের অনুমতি ছাড়া ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টা মামলায় জেরার সময় ভুক্তভোগীকে তাঁর চরিত্র ও অতীত যৌন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না—এমন বিধান যুক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে বিচারকাজে বিভিন্ন ডিজিটাল তথ্যকেও সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপনের সুযোগ আইনে যোগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধনী প্রস্তাবে।

এই সংশোধনীতে পাস হলে বিদ্যমান সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারা বাতিল হবে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যখন ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা।

বিলে ক্রস এগজামিনেশন বা জেরার সময় প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টা মামলার ভিকটিমকে তাঁর নৈতিক চরিত্র বা অতীত যৌন আরচণ নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। ন্যায়বিচারের স্বার্থে যদি আদালত মনে করে এই ধরনের প্রশ্ন করা প্রয়োজন, তাহলে আদালতের অনুমতি নিয়েই কেবল তা করা যাবে।