গরীব ও অসহায়দের পক্ষে মামলা পরিচালনার শর্তে দণ্ডিত আইনজীবী প্রবেশনে মুক্ত
আইনজীবী (প্রতীকী ছবি)

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, আইনজীবীর কারাদণ্ড

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক আইনজীবীকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবীর নাম মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ।

এর আগে ২০১৩ সালে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন পূর্ব জুরাইনের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী মুনশির মেয়ে ফাহিমা বেগম লিজা বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে এ মামলা করেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামি মনিরুল ইসলাম আগের বিয়ে ও বাচ্চার তথ্য গোপন করে মিথ্যা প্রলোভনে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়।

বিয়ের কিছুদিন পর ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ মনিরুল বাদীর কাছে বাড়ি মেরামতের জন্য ৪ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদী নিজের গহনা বিক্রি করে ও সঞ্চিত অর্থ থেকে ৪ লাখ টাকা আসামিকে দেন।

কিছুদিন পর পুনরায় আসামি বাদীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তখন বাদী বলেন, ‘আমার বাবা নেই। আমি এত টাকা কোথায় পাব? আমার জমানো টাকা তোমাকে আগে দিয়েছি।’

এরপর প্রায় প্রতি রাতেই বাদীকে যৌতুকের জন্য মারধর করতেন আসামি। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৬ মে রাত ১০টার দিকে আসামি বাদীর বাসায় এসে দাবি করা যৌতুকের টাকা জোগাড় হয়েছে কি না, তা জিজ্ঞেস করেন। টাকা দিতে না পারলে বাদীকে ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দেন।

বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, মূলত অর্থের লোভেই লিজাকে বিয়ে করেছিলেন মনিরুল। আসামি মনিরুল বাদীকে হয়রানি করার জন্য এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা করেছেন। ২০১৩ সালে করা মামলায় দীর্ঘ ৯ বছর পর রায় পেলেন বাদী।