জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সংবিধান তখনই স্বার্থক হবে যখন দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হবে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে সংবিধানের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় স্পিকার বলেন, সংবিধান আমাদের একদিনের ফসল নয়। অনেক বাধা বিপত্তি, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এক সফলতা। মাত্র নয় মাসেই যা বঙ্গবন্ধু করে দেখিয়েছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা, সবকিছুর প্রতিফলনই ঘটেছে এই সংবিধানে। সংবিধান এদেশের শাসনতন্ত্র, আর শাসনতন্ত্র ছাড়া কোনো দেশ হালছাড়া নৌকার মতো।
তিনি বলেন, সমাজতন্ত্রে শোষণহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে। সেই জায়গা থেকেই সংবিধানের মূল দর্শনে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কাজ করছেন দেশ ও জাতির উন্নয়নে। অবারিত সংশোধনীর মাধম্যে ৭২–এর সংবিধানের পরিবর্তন করা হয়েছে অনেক। তবে পরবর্তীতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যেমে তা ফিরিয়ে আনা হয় বঙ্গবন্ধুর সংবিধানের দর্শন অনুযায়ী। এই সংবিধান তখনই স্বার্থক হবে যখন দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এমন কোনো বিধান নেই, যা বঙ্গবন্ধুর সংবিধানে নেই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সংবিধানের রূপকেই মূলত হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। সংবিধানের চরিত্র পাল্টে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে রূপ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেখান থেকে ফিরিয়ে এনে দেশের উন্নয়ন এবং পূর্ণাঙ্গ একটি সুন্দর সংবিধান যে আমরা পেয়েছি, এটাই প্রধানমন্ত্রীর সবথেকে বড় উপহার।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের সংবিধান প্রণেতারা একটি উজ্জ্বল বাংলাদেশের জন্য দলিল তৈরি করেছেন। প্রতিটি জাতির আত্মপরিচয়ের স্মারক সংবিধান। এখানে রয়েছে ন্যায় বিচার আর বিচারের প্রতি আনুগত্য। আমাদের গণচেতনার প্রতিফলন রয়েছে এই সংবিধানে। সংবিধানের বিশেষ অংশকে প্রত্যেক শ্রেণির পাঠ্যসূচি করা উচিত বলে আমি মনে করি।