বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়ার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল। মামলায় ওসির বিরুদ্ধে হামলার সময় সহযোগিতা না করার অভিযোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলায় মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৫ জনকে আসামি করার আর্জি জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তিনি মামলার আবেদন করেন। এতে ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ধারা ১৩ এর (১), (২) এর খ ও গ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
আদালতে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন। আদালত শুনানি শেষে এ বিষয়ে পরে আদেশের জন্য রেখেছেন।
মামলার আবেদনে যাদের আসামি করার আর্জি জানানো হয়েছে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন, বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির, শ্রমিক লীগ কর্মী বাবু, শফিক, বনানী থানার যুবলীগ কর্মী শ্যামল, দোলন, রনি, ববি, সাগর, মামুন এবং ফারুক। এছাড়া আরও ২০০/৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করার আবেদন হয়েছে। এছাড়া বনানী থানার আরও ২০/৩০ জন পুলিশ সদস্যকেও অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য বাড়ানোসহ দলীয় তিন নেতার নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান ২ এর গোলচত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেন।
এ সময় তাবিথ আউয়াল শান্তিপূর্ণ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির নিশ্চিতের জন্য বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর আওয়ামী লীগের হামলায় তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপির অনেকে গুরুতর আহত হন। তাই এ অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়।