দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেবেন না : বিচারকের পর্যবেক্ষণ
বিশেষ জজ আদালত-৮, ঢাকা

হাইকোর্টে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণার চেষ্টা, আসামির ১৫ বছরের কারাদণ্ড

হাইকোর্টে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অনৈতিকভাবে লাভবান চেষ্টা করার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এই রায় দিয়েছেন বলে আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম রায়হান মেহেদী।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, সরকার পুরোনো গাড়ি আমদানির ওপরে বিধি-নিষেধ আরোপ করে। সেই আরোপে বলা হয়েছিল, পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানি করা যাবে না।

আসামি রায়হান মাহাদী পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি অসৎভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে জালিয়াতি করে বিল অব এন্ট্রি আদালতে দাখিল করে সুবিধাজনক আদেশ হাসিল করার চেষ্টা করেন।

নথিতে আরও বলা হয়েছে, আসামি রায়হান মাহাদী হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন মামলা ৩২৯৯/১৩ মামলায় এফিডেভিট কমিশনারের নিকট শপথপূর্বক সত্য বলে, জাল বিল অব এন্ট্রি নং সি-৫১৭৩, তারিখ ৬/৬/২০১২ আদালতে দাখিল করেন। মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে রুলনিশি লাভেরও চেষ্টা করেন।

এছাড়া আসামি রায়হান মাহাদী জাল জালিয়াতি করে মিথ্যাভাবে সৃজনকৃত বিল অব এন্ট্রি দুটি সর্বোচ্চ আদালতে দাখিল করে প্রতারণার মাধ্যমে অনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে রুলনিশি লাভের চেষ্টা করেন এবং অন্যান্য আদেশ নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬ ও ৪৭১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার সকল বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায় ঘোষণা করেন আদালত।

বিচারক রায়ে আসামিকে দণ্ডবিধির ৪৬৭ ধারায় ৬ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং দণ্ডবিধির ৪৬৮/৪৭১ ধারায় চার বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

পৃথক পৃথক ধারায় মোট ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও আসামির সব সাজা একত্রে চলবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এর ফলে আসামির ৬ বছরের সাজা খাটলেই হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন।