দুর্নীতির দায়ে সেটেলমেন্ট অফিসার ও সার্ভেয়ারের কারাদণ্ড
মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা।

বনানী থানার ওসির বিরুদ্ধে তাবিথ আউয়ালের করা মামলার আবেদন খারিজ

নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রাজধানীর বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে তাবিথ আউয়ালের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

মামলা গ্রহণের মতো কোনো উপাদান না থাকায় আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান আবেদনটি খারিজ করে দেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল।

এর আগে সোমবার (৭ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন তাবিথ আউয়াল। এদিন আদালত মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।

এদিন আদালতে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন।

মামলার আবেদনে বনানী থানার ওসি ব্যতীত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন, বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির, শ্রমিক লীগ কর্মী বাবু, শফিক, বনানী থানার যুবলীগ কর্মী শ্যামল, দোলন, রনি, ববি, সাগর, মামুন এবং ফারুককে আসামি করার আর্জি জানানো হয়।

এছাড়া আরও ২০০/৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করার আবেদন হয়েছে। পাশাপাশি বনানী থানার আরও ২০/৩০ জন পুলিশ সদস্যকেও অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য বাড়ানোসহ দলীয় তিন নেতার নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান ২ এর গোলচত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেন।

এ সময় তাবিথ আউয়াল শান্তিপূর্ণ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির নিশ্চিতের জন্য বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর আওয়ামী লীগের হামলায় তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপির অনেকে গুরুতর আহত হন। তাই এ অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়।

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা মামলার আবেদনে অভিযোগটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়। পাশাপাশি আসামিদের শাস্তি দেওয়া এবং সাক্ষীদের ক্ষতিপূরণের আবেদন জানানো হয়।