চাকরি প্রার্থীদের নিকট থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ জমা রেখে চাকরি দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং একজন চাকরিচ্যুত ব্যক্তির মূল সার্টিফিকেট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মো. শাহেন শাহ নামের এক ব্যক্তির পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত ২৯ নভেম্বর এ রিট পিটিশন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম মিয়া।
রিট আবেদনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সহসভাপতি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’ এর নির্বাহী পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনের বিষয়টি আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী সেলিম মিয়া নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবেদনটি উচ্চ আদালতের আগামীকাল রোববারের (৪ ডিসেম্বর) কার্যতালিকায় ১১৯ নম্বরে রয়েছে।
খুব শিঘ্রই মাননীয় বিচারপতি জনাব আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান এবং মাননীয় বিচারপতি জনাব এ কে এম রবিউল হাসান এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এর দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান অ্যাডভোকেট সেলিম মিয়া।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে মো. শাহেন শাহ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘প্রোগ্রেস’ এর ক্রেডিট অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। নিয়োগের সময় এনজিওটি তাঁর কাছ থেকে এসএসসি, এইচএসসির মূল সনদ ও ব্ল্যাংক চেক জমা রাখেন। চার বছর কাজ করার পর ২০২১ সালে তিনি চাকরিচ্যুত হন।
চাকরি যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি থেকে তিনি কোন বেনিফিট তো পাননি বরং অর্থ তছরুপের মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রায় দেড় বছর ধরে তাঁর এসএসসি, এইচএসসির মূল সনদ ও জমা দেওয়া ব্ল্যাংক চেক ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।