বিএনপি দলীয় ৫ সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে পাঁচ সংসদ সদস্যের পদ শূন্য ঘোষণা করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর আজ রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনে গিয়ে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য।
যাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে, তারা হলেন— বগুড়া-৭ আসনের জিএম সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের রুমিন ফারহানা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সশরীরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন অন্য সংসদ সদস্যরা। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন উর রশীদ বিদেশে থাকায় তিনি স্পিকারের কাছে যেতে পারেননি।
তবে তাদের স্বাক্ষরসংবলিত পদত্যাগপত্র স্পিকারের হাতে দেন দলীয় হুইপ রুমিন ফারহানা। এসময় স্পিকার পাঁচজনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। বাকি দুজনের পদত্যাগপত্র যাচাই-বাছাই করে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্পিকার তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে বলেন, ‘সংবিধানের ৬৭(২) অনুযায়ী ওই আসনগুলো শূন্য হয়ে গেছে। বাকি দুজনের আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।‘
এর আগে রোববার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সংসদ ভবনে স্পিকারের দপ্তরে যান বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের স্পিকার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আসন শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশের পর তাদের কাছে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।
আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন হবে জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘আসন শূন্যের এখন গেজেট হবে। পরে অধিবেশন যখন বসবে, সেখানেও জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটে অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচনে বিএনপির ছয়জন বিজয়ী হন, পরে সংরক্ষিত নারী আসনের একটি পায় দলটি। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে শুরুতে বিএনপি জানিয়েছিল, তারা সংসদে যাবে না। পরে সিদ্ধান্ত বদলে শপথ নেন দলটির সংসদ সদস্যরা।