জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি)।
আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াতের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ছেলের বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে। এর আগে গত ৯ নভেম্বর তার ছেলে ডা. রাফাত চৌধুরীকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
সিটিটিসি জানায়, জামায়াতের আমিরের ছেলে গ্রেফতার ডা. রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন।
২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদের জন্য রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ ও ‘আরএসও’ উভয় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিজরত (একটি উদ্দেশ্য নিয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে গমন) করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ‘আরএসও’ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ডা. রাফাত।
গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম ওরফে ইসা ওরফে আরাফাত ওরফে আনোয়ার ওরফে আনবির (২৪), মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া (২১) ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (২২)।
তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই উগ্রবাদি জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত চৌধুরীর মাধ্যমে দাওয়াতপ্রাপ্ত হন। তারা গত ৬ নভেম্বর ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে গ্রেফতার তিনজন ডা. রাফাতসহ অন্য সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট এলাকা থেকে ডা. রাফাত চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র : জাগো নিউজ