ফখরুল-আব্বাসসহ ২২৪ জনের জামিন নামঞ্জুর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস

কারাগারে ডিভিশন চেয়ে ফখরুল-আব্বাসের আবেদন শুনবেন হাইকোর্ট

কারাগারে ডিভিশন চেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের দায়ের করা রিট শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় এ রিটের শুনানি হবে। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহামদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ সময় নির্ধারণ করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

আদালতে সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ভেরি আর্জেন্ট ম্যাটার। দুইজনই সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। তাদের ডিভিশন দেওয়া হয়নি। কারা বিধি অনুযায়ী তারা ডিভিশনপ্রাপ্য।

এর আগে সকালে কারাগারে ডিভিশন চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস হাইকোর্ট রিট দায়ের করেন। মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এ রিট দায়ের করেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২২৪ নেতা-কর্মীর পক্ষে রোববার (১১ ডিসেম্বর) আইনজীবীরা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিশেষ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।