পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

পবিপ্রবিতে সংঘর্ষ: অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করে মামলা

আবু হাসনাত তুহিন, পবিপ্রবি প্রতিনিধি : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ এর ১৪৩, ৩২৩ ও ৩২৫ ধারায় তথা বেআইনি জনতাবদ্ধে মারধর করিয়া গুরুতর জখম করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

পবিপ্রবি’র নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোঃ মুকিত মিয়া বাদী হয়ে রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) মামলাটি করেন। আদালতে অভিযোগ সমূহ প্রমাণিত হলে আসামীদের ১ থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছরের সাজা হতে পারে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ইং রাত আনুমানিক ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম গেটে পরিবহন শাখার সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ও কতিপয় ৪০/৫০ জন স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডের সৃষ্টি হয়। বাকবিতন্ডের এক পর্যায়ে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহিরাগত দুষ্কৃতিদের সাথে নিয়ে লাঠি, লোহার রড ও ইট পাটকেল নিয়ে অতর্কিত হামলা করে।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ মেহেদী ইসলাম (সেশন: ২০১৬-১৭), মোঃ জাহিদ হাসান (সেশন: ২০১৭-১৮), রাকিবুল হাসান রায়হান (সেশন: ২০১৭-১৮), সোহেল রানা (সেশন: ২০১৮-১৯), আরিফ আল মাহমুদ (সেশন: ২০১৭-১৮), অলিউল ইসলাম নাবিল (২০১৬-১৭), সৈয়দ হাসান ইকবাল (সেশন-২০১৬-১৭), এনামুল জাহান ইফতি (সেশন: ২০১৭-১৮), জাহাঙ্গীর আলম (সেশন: ২০১৮-১৯), ইমরান (সেশন: ২০১৮-১৯) সহ অনেক ছাত্র গুরুতর জখম হয়।

প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু (৪৮), প্রক্টর, ২। শাহ মাহমুদ সুমন (৩০), সহকারী প্রক্টোর, ৩। মোঃ আশরাফুল আলম (৪০), সহকারী প্রক্টর ৪। সৌদবিন আলম (৩৫), সহকারী প্রভোষ্ট ডি-১ শের-ই-বাংলা হল-১, ৫। মোঃ ফয়সাল(৩৫), সহকারী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, ৬। আব্দুল্লাহ আল হাসান, সহকারী প্রক্টর, ৭। নিউটন সাহা (৩৫) সহকারী প্রভোষ্ট ডি-১ শের-ই বাংলা হল। সর্ব কর্মস্থল- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থানা- দুমকি জেলা-পটুয়াখালীসহ আরো অনেক সাক্ষী আছেন।

এদিকে ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির জন্য আয়োজিত আনন্দ মিছিল ও পথসভায় এ বিবাদের সূত্রপাত ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ফটকে দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।