গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত চেয়ে ৬৬ ভোটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৭ নম্বর ওয়ার্ড (গোলাপগঞ্জ) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী। ওয়ার্ডটি থেকে তিনি সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন।
নির্বাচন হয়ে যাওয়ার প্রায় আড়াই মাস পর রোববার (১ জানুয়ারি) সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে তিনি মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক শাকিলা ফারজানা চৌধুরী সুমু শুনানি শেষে সমূহ আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, জেলা পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচনে প্রচারণার সময় অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরীর কাছ থেকে ভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসকল ভোটাররা বিভিন্ন সময় অর্থ কর্জ করেন। কিন্তু অভিযোগ, গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তারা মুজিবুরকে ভোট দেননি। ফলে তিনি হেরে যান।
নির্বাচনের পর মুজিবুর তার দেওয়া কর্জের টাকা ফেরত চান। কিন্তু যেসব ভোটার টাকা নিয়েছিলেন তারা দিচ্ছিলেন না। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ৬৬ ভোটারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন।
কথাগুলো মৌখিকভাবে বললেও মামলার এজাহারে বাদি টাকার বিনিময়ে ভোটের বিষয়টি উল্লেখ করেননি। বিভিন্ন অজুহাতে ভোটাররা টাকা কর্জ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
মুজিবুর রহমান চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেব্রত চৌধুরী লিটন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ৬৬ ভোটার বাদির কাছ থেকে ধার কর্জ হিসেবে মোট ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত ১৭ অক্টোবর টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও গড়িমসি করেন।
গত ৪ ডিসেম্বর বাদি গোলাপগঞ্জ বাজারে তার অফিসে বিবাদীগণের কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু তারা নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। এতে অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমূহ আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
সূত্র : বাংলানিউজ