দুই আইনজীবীর রিমান্ড: অধস্তন আদালতের নথি তলব করলেন হাইকোর্ট
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

শিক্ষক হতে চেয়ে হাইকোর্টে ৮০ প্রতিবন্ধী, বিনা পয়সায় মামলা লড়বেন আইনজীবী

প্রতিবন্ধী কোটার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করছেন দেশের বিভিন্ন জেলার ৮০ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। 

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮০ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করবেন বলে আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

রিটে আবেদনে সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটা থেকে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হবে। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হবে।

রিট আবেদন প্রস্তুত করার বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তিনি বলেন, কোটার ভিত্তিতে ৮০ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন প্রস্তুত করেছি।

এই আইনজীবী বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে উত্তীর্ণ করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগে নারী কোটা, পোষ্য কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করা হয়েছে। অথচ প্রতিবন্ধী কোটায় কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ না দেওয়ায় সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ কারণে গাইবান্ধার মাহবুব শেখ, রংপুরের আবু জাহিদ, বাগেরহাটের পার্থ প্রতিম, নরসিংদীর পারুল বেগমসহ ৮০ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পক্ষে রিট আবেদন করেছি।

আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, রিটকারীরা সবাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তারা আর্থিকভাবেও অসচ্ছল। তাই তাদের পক্ষে বিনা পয়সায় রিট মামলা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০১৪ সাল থেকেই আমি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষে বিনা পয়সায় আইনি সেবা দিয়ে আসছি।

এর আগে গত রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত পর্বে বাদ পড়া চাকরিপ্রার্থীরা মানববন্ধন করেন।

সেদিন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্ত পর্বে বাদ পড়া শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ফাহিম মোহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার জন নেওয়া হলেও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের নেওয়া হয়নি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও চূড়ান্ত ফলাফলে প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীদের স্থান হয়নি।