রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ৩২ মণ ১০ কেজি পুরোনো নথি বিক্রি করা হয়েছে। গত শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে এগুলো কেজি দরে বিক্রির পর বিষয়টি জানাজানি হলে রাতে ফেরত আনা হয়।
আইনজীবীরা বলছেন, আদালতের পুরোনো নথি বিক্রির নিয়ম নেই। তবে চাইলে এসব ধ্বংস করা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাজবাড়ী জেলা আদালত থেকে নছিমনে (স্থানীয় যানবাহন) করে এসব নথি নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেগুলো ভ্যানে করে ফেরত আনা হয়। তবে সব নথি ফেরত আনা হয়েছে কিনা, তা জানা সম্ভব হয়নি।
পুরোনো এসব নথি বিক্রির জন্য প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করা হয়। শনিবার সহকারী জজ মো. মিলন আলী স্বাক্ষরিত বিক্রয় প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী, ৭৫০ টাকা মণ দরে মোট ২৪ হাজার ২০০ টাকায় পুরোনো নথিগুলো মেসার্স নাহিয়ান স্টোরের মালিক উজ্জ্বল খানের কাছে বিক্রি করা হয় এবং সেগুলো মো. ডাবলু শেখকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যয়নপত্রে প্রয়োজনে সেরেস্তাদার ও বেঞ্চ সহকারীর মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
সেরেস্তাদার আক্কাছ আলীকে কল দিলে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেন। বেঞ্চ সহকারী আবদুল মতিন বলেন, ‘বিক্রির প্রক্রিয়া জানি না। তবে নথিগুলো ফেরত আনা হয়েছে।’
রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার বোস বলেন, ‘আদালতের নথি বিক্রির কোনো নিয়ম নেই। এসব নথিতে গোপনীয় অনেক কিছু থাকে। আইনজীবীদের অবহিত করে সাধারণত পুরোনো নথি পুড়িয়ে অথবা মেশিন দিয়ে কেটে ধ্বংস করা হয়।’
আদালতের নথি কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে বিক্রি করা হয়েছে- জানতে চাইলে রাজবাড়ী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) উজীর আলী ও জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন- দু’জনের কেউই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ধারণা নেই বলে জানান।