মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : বিচারপ্রার্থীদের জন্য সেবার মান আরো উন্নত ও সাবলীল করতে কক্সবাজারের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর সর্বস্থরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্বের সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে বিচার বিভাগের সুনাম বৃদ্ধি পায় এবং বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আরো সমুজ্জ্বল হয়। দেশের বিচার বিভাগ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে সহায়ক হয়।
কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে কর্মরত সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সিজেএম ভবনে অনুষ্ঠিত এক পরিচিতি সভায় কক্সবাজারের নবাগত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আবদুল্লাহ আল মামুন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যে একথা বলেন।
সিজেএম আবদুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান দেশের সকল মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে। সেজন্য বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। বিচারপ্রার্থীদের কাঙ্ক্ষিত ও যথাযথ সেবা দেওয়া এককভাবে কখনোই কারো দ্বারা সম্ভব নয়। এটা একটা টিম ওয়ার্ক। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও পুরো কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী পরিবারকে সর্বোচ্চ আন্তিরকতা দিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
পরিচিতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী, শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গা, আখতার জাবেদ, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাঈদীন নাঁহী প্রমুখ বিচারকবৃন্দ এবং কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী রেকর্ড কীপার আরিফুর রহমান চৌধুরী-কে কর্মসম্পাদনে নিষ্ঠা ও দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ “শুদ্ধাচার পুরস্কার-২০২২” প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের ৮ম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) হিসাবে আবদুল্লাহ আল মামুন গত ৪ জানুয়ারি যোগদান করেন। এর আগে বিজ্ঞ বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখান থেকে তাঁকে কক্সবাজারের সিজেএম পদে পদায়ন করা হয়।