জামিন জালিয়াতি ও আদালতের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় এক আইনজীবীসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সেই সাথে আগামী ২ মার্চ এ বিষয়ে তামিল প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করার পর আদালত এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপ-পরিদর্শক নিজামুদ্দিন ফকির।
অভিযোগপত্রে উল্লেখিত আসামিরা হলেন- আইনজীবী সাইফুর রহমান ওরফে মাসুম মাতুব্বর, তদবিরকারক আব্দুল হেকিম, সুপ্রিম কোর্টের ক্লার্ক মো. সাইদুর রহমান ওরফে ছাবদুল শেখ ও সিরাজুল ইসলাম। এদের মধ্যে সাইফুর রহমান ও সাইদুর রহমান কারাগারে আটক রয়েছেন। এছাড়া তদবিরকারক হেকিম ও সিরাজুল পলাতক রয়েছে।
জিআরও নিজামুদ্দিন ফকির জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. নুরুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এ মামলায় দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পলাতক আসামি সিরাজুল ইসলামের পরামর্শে আসামি আইনজীবী সাইফুর রহমান, আব্দুল হেকিম ও সাইদুর রহমান পরস্পর যোগসাজসে বিমানবন্দর থানার ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-এর বি ধারায় অভিযুক্ত আসামি সিরাজুল ইসলামের জামিনের জন্য ৯ কেজি ২৭৪ গ্রাম সোনা চোরাচালান মামলার ঘটনাটি আড়াল করেন। সেইসঙ্গে ৩৫ হাজার ৩০০ ভারতীয় মুদ্রা এবং ৬৫ হাজার ৪০০ বাংলাদেশি টাকার মুদ্রা পাচারের কাগজপত্র, মামলার এফআইআর, এজাহার ও জাবেদা নকল তৈরি করে প্রতারণামূলকভাবে আদালতে উপস্থাপন করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় ৯ কেজি ২৭৪ গ্রাম সোনা চোরাচালানের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় একমাত্র আসামি সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে কারামুক্ত করার জন্য এ মামলার তদবিরকারক আব্দুল হেকিম সুপ্রিম কোর্টের ক্লার্ক মো. সাইদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এরপর সোনা চোরাচালানের মামলার বিষয়টি আড়াল করে পরস্পর কারসাজির মাধ্যমে হাইকোর্ট থেকে মুদ্রা পাচার আইনের মামলায় আসামি সিরাজুলের জামিন করান আইনজীবী সাইফুর রহমান। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী রেজিষ্ট্রার (ফৌজদারী আপিল শাখা) মো. সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।