মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : সাড়ে ৪ লক্ষ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় একজনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে দন্ডিতকে ১ লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডিত আসামী হলেন কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী পাড়াটা মৃত জাফর আলম ও রমা খাতুনের পুত্র মিনি ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আলম (৩১)। দন্ডিত আসামী পলাতক রয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এবং আসামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোঃ নুর সোলতান ও মোঃ আবছার কামাল মামলাটি পরিচালনা করেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জেলা নাজির বেদারুল আলম ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডমকম-কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০১৮ সালের ১ মে রাত ৩ টা ১৫ মিনিটের দিকে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি টিম টেকনাফের রাজারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটে কবির মেম্বারের বাড়ির সামনে এক অভিযান চালানোর সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার) ফেলে ড্রাইভার পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের টিম ডাম্পার ট্রাকটি তল্লাশি করে সাড়ে ৪ লক্ষ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে টেকনাফ থানার এসআই মহিউদ্দিন খান বাদী হয়ে একই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ২/২০১৮ ইংরেজি। জিআর মামলা নম্বর : ২১৮/২০১৮ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর : ২৩৪/২০২০ ইংরেজি।
বিচার ও রায়
মামলাটি তদন্তকালে ডাম্পার ট্রাকের ড্রাইভার মোঃ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী ডাম্পার ট্রাকের ড্রাইভার দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে।
মামলাটি বিচারের জন্য আমলী আদালত থেকে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে পাঠানো হলে ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর মামলাটি চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়।
মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহনকারী অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস সহ ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়।
রায় ঘোষণার দিনে বিচারক কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ১৯৯০ সালে সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) টেবিলের ৯ (খ) ধারায় আসামী মোঃ আলম-কে দোষী সাব্যস্থ করে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড, একইসাথে ১ লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।