পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের বিচার শুরু হলো।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ এই অভিযোগ গঠন করেন।
বিশেষ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) বিপ্লব কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ বলেন, অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় সাবেক সংসদ সদস্য ও তাঁর স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালের বিরুদ্ধে খাসজমিতে ভবন নির্মাণ, অর্পিত সম্পত্তি ও পুকুর দখলের অভিযোগে তিনটি মামলা করেন। এর একটি মামলায় আউয়ালের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়।
দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, তিনটি মামলার মধ্যে প্রথম মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীন প্রভাব খাঁটিয়ে নাজিরপুর উপজেলার বুইছাকাঠি মৌজায় দশমিক শূন্য ৩ একর খাসজমি বেনামে বন্দোবস্ত নেন। পরে ওই জমিতে পাকা দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে ভাড়া দেন। এ ঘটনায় আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়। অপর দুই মামলায় শুধু আউয়ালকে আসামি করা হয়।
ওই দুই মামলায় বলা হয়েছে, পিরোজপুর পৌরসভার খুমুরিয়া মৌজায় রাজার পুকুর নামে পরিচিত অর্পিত সম্পত্তির ৪৪ শতাংশ জমি দখল করে চারপাশে দেয়াল নির্মাণ করেন আউয়াল। এ ছাড়া নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি মৌজায় দশমিক ৫ একর অর্পিত সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিয়ে শর্ত ভঙ্গ করে আউয়াল ফাউন্ডেশনের নামে দ্বিতল পাকা ভবন করেন তিনি।
মামলা তিনটি তদন্তের জন্য দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবরকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তদন্ত শেষে এজাহারে বর্ণিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা তিনটি মামলাতেই সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল এবং তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ২০২১ মালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পিরোজপুর-১ (সদর) আসনে ২০০৮ সালে আউয়াল প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি।