বিচারপ্রার্থীদের সুবিধা বিবেচনায় দেশের প্রতিটি আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
আজ শনিবার (৩ জুন) দুপুরে দিনাজপুর আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি বলেন, আদালতে বিচারপ্রার্থীরা এলে তাদের বসার কিংবা ওয়াশরুম ব্যবহারের সুযোগ সেভাবে থাকে না। আইনজীবী সমিতির ওয়াশরুম ব্যবহারের সুযোগও কম। প্রধান বিচারপতি বিষয়গুলো অনুভব করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিটি আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের প্রস্তাব তুলে ধরলে প্রধানমন্ত্রী সেই প্রস্তাবটি সাদরে গ্রহণ করে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন।
আপিল বিভাগের এই বিচারপতি বলেন, দেশের প্রতিটি আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হবে। যেসব জেলা বড় সেখানে ১০০০ স্কয়ার ফিট ও যে সব জেলা ছোট সেসব জেলায় ৮০০ স্কয়ার ফিটের ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এক সময় ছিল আদালতগুলোতে বড় বড় বটগাছ ছিল। সেই গাছের নিচে প্রার্থীরা বিশ্রাম নিতেন। কিন্তু বর্তমানে বটগাছ নেই। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণকাজ শেষ হবে। তখন ন্যায়কুঞ্জের সুফল পাবেন বিচারপ্রাথীরা। বিচারপ্রার্থীদের কথা বিবেচনা করে এই ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হচ্ছে।
দিনাজপুর গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দিনাজপুর আদালত চত্বরে ১০০০ স্কয়ার ফুটের ন্যায়কুঞ্জটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৫১ লাখ টাকা। ন্যায়কুঞ্জতে বিচারপ্রাথীদের বিশ্রাম, ওয়াশরুম, বেস্ট ফিডিং কনার ও একটি খাবারের দোকান থাকবে।
ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. যাবিদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিচুর রহমান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন, দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তহিদুল হক সরকার, দিনাজপুর গণপূত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামনু।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আদালত চত্বরে একটি বৃক্ষরোপণ করেন। পরে দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সকাল ১০টায় চিফ জুডিসিয়াল আদালতের হল রুমে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।