কুড়িগ্রামের দুষমারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় চার্জশিট এবং অভিযোগ গঠনের আদেশে অসঙ্গতি ও গরমিল থাকার ঘটনায় জেলার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আশিকুল খবিরকে শোকজ করেছেন হাইকোর্ট। এ ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন দিলেন তার লিখিত ব্যাখ্যা ৭ দিনের মধ্যে তাকে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে দুষমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রুহানীকে তলব করেছেন আদালত। আগামী ১১ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে স্বশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মো. রুহানীকে আদেশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা লিখিতভাবে জানাতে ও তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
এই মামলার আসামি মো. তোফাজ্জাল হোসেন তোতার জামিন শুনানিকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ মে এ আদেশ দেন।
আদেশের লিখিত অনুলিপি বুধবার (৭ জুন) প্রকাশিত হয়। লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, আসামিপক্ষের আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে এবং মামলার নথি দেখে শুনানির সময় কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। মামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের অভিযোগ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু, চার্জশিট এবং চার্জ গঠনের আদেশে সেই পুনরুদ্ধারের কোনো প্রতিফলন নেই।
এ মামলায় আদালতে আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, আনিসুর রহমান শুনানি করেন।