ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ব্যারিস্টার মারগুব কবির।
তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাইসীর মাহমুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা গত ৩১ মে হাইকোর্টে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
গত ১৪ জুন বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর একক বেঞ্চে তার পদত্যাগপত্র উপস্থাপন করা হয় এবং শুনানি হয়। আদালত তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। শিগগিরই হাইকোর্ট ডেসটিনির পরিচালনায় বোর্ড পুনর্গঠন করে আদেশ দেবেন বলেও জানান ব্যারিস্টার তাইসীর।
দুজনের পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, আদালতের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে তারা এই কোম্পানির পরিচালনার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন। তবে পারিবারিক কারণে এখন দায়িত্ব পালনে তারা অপারগ।
এর আগে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে ডেসটিনি-২০০০ এর পরিচালনায় বোর্ড পুনর্গঠন করে করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মইনুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০১২ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত এজিএম করার জন্য ১৬ জন আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন এবং ৯ সদস্যের বোর্ড পুনর্গঠন করেছেন। এখানে চেয়ারম্যান করা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন– সাবেক জেলা জজ হাসান শহীদ ফেরদৌস, ব্যারিস্টার মারগুব কবির, ফখরুদ্দিন আহমেদ এফসিএ।
আবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন পায় ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড। কোম্পানিটির মোট শেয়ারহোল্ডার রয়েছে ৪৯ জন।
হাইকোর্টে আবেদনকারীরা হলেন– ডেসটিনির পরিচালক বিপ্লব বিকাশ শীল, মোহম্মদ জাকির হোসেন, মো. শাহিনুর হাওলাদার শাহীন, সাইফুল আলম রতন, জিএম গোলাম রাব্বানী, শামনুন এহসান শামীম, মাসুদা ইসমত আরা, জাহাঙ্গীর আলম, মহিউদ্দিন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম, খায়রুন নেসা, সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবাল, শাহজাদা আল মাহমুদ, হোসাইন আজাদ, কামরুল হাসান ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।