তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)

তথ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ‘মিথ্যা ভিডিও’ সরানোর নির্দেশ আদালতের

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া ‘তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের অপকর্ম নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ শিরোনামের ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে একটি পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবির এ আদেশ দেন। তথ্যমন্ত্রীর ড. হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারী বাদী হয়ে পিটিশনটি দায়ের করেন।

চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী বাদী হয়ে ডিজিটাল আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালত কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর তিনি একই দিন ভিডিও সরাতে একটি পিটিশন দায়ের করেন।

চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় কানাডা প্রবাসী নাজমুস সাকিব, নাগরিক টিভি নামে একটি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল, এইচ এম কামাল, আজাদ শাহাদাত, সানি প্রধান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খন্দকার ইসলাম এবং মোহাম্মদ হাজি হারুন রশিদকে বিবাদী করা হয়।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ড. হাছান মাহমুদ এমপিকে রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে, হেয়প্রতিপন্ন, মানহানী ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার কু-মানসে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন পূর্বক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘নাগরিক টিভি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করা হয়।

প্রকৃতপক্ষে, ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি কোনো টিভি চ্যানেল নয়, ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ মাত্র। তাদের উল্লিখিত কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রকৃত নাগরিক টিভির কর্তৃপক্ষ আসামি কর্তৃক পরিচালিত ভুয়া ও অবৈধ নামধারী নাগরিক টিভির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই মর্মে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যে প্রচার করেছে।

এর আগে গত রোববার (১৮ জুন) চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় একই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায়ও কানাডা প্রবাসী নাজমুস সাকিবসহ মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়।

চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করছেন।