৪২ দিন আগে রাজধানী থেকে উদ্ধার চুরির পাঁচটি গরু ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে বিচারকের উপস্থিতিতে বিক্রি হলো নিলামে। চার লাখ ১১ হাজার টাকায় পাঁচ জন ক্রেতা গরুগুলো কিনে নেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বটতলার নিচে নিলামের কাজ সম্পন্ন হয়। এসময় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন সকালে একটি ছোট ট্রাকে করে ৫টি গরু রাজধানীর শনির আখড়া থেকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। পোস্টার টাঙিয়ে, হ্যান্ড মাইকে নিলামের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। অনেকে ভিড় জমান গরুগুলো দেখতে। অর্ধশতাধিক ক্রেতা গরুগুলো কিনতে আবেদন করেন। পরে বিকেল চারটায় গরুগুলো নিলামে তোলা হলে তা বিক্রি হয়।
পাঁচটি গরুর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি বিক্রি হয় এক লাখ ২৬ হাজার টাকায়। অপর চারটি ৯৭, ৮০, ৬৩ এবং ৪৬ হাজার টাকা করে বিক্রি হয়।
দারুস সালাম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আল-মামুন জানান, চক্রটি মোট ৬টি গরু চুরি করে নিয়ে আসে। একজন কাগজপত্র জমা দিয়ে প্রমাণপত্র দেখিয়ে তারটি নিয়ে যান। অপর পাঁচটির মালিক না থাকায় আজ নিলামে তুলে বিক্রি করা হলো।
জানা যায়, গরু ব্যবসায়ী আছির উদ্দিন গত ১১ মে সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন কালিয়া কান্দাপাড়া গরুর হাট থেকে ৭১ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় গরু কেনেন। গরুটি বেঁধে রেখে চা খেতে যান তিনি। পরে এসে আর গরুটি পান না। বিষয়টি হাট কমিটিকে জানান তিনি। হাট কমিটি তাকে গাবতলী গরুর হাটে খোঁজ নিতে বলে।
পরদিন তিনিসহ একজন গাবতলী হাটে আসেন। অনেক খুঁজেও গরুটি না পেয়ে তিনি ডিবি পুলিশের সহায়তা চান। তাদের সাথে ডিবি পুলিশ গরুটি খুঁজতে থাকে। পরে আছির উদ্দিন নম্বরপ্লেট বিহীন একটি পিকআপে তার গরুটি দেখতে পান। তিনি ডিবি পুলিশকে বিষয়টি জানান। ডিবি পুলিশ গাড়িটিতে সিগন্যাল দিলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- জাকির হোসেন, বিল্লাল মিয়া, ইউসুফ, রিপন ও রজব আলী। পরে তারা আছির উদ্দিনের গরু চুরির বিষয়টি স্বীকার করে। তারা আরও স্বীকার করে, গত ৫/৭ দিনে তারা ৯/১০টি গরু চুরি করেছে।
এ ঘটনায় আছির উদ্দিন দারুস সালাম থানায় মামলা দায়ের করেন।