মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান সহ, অন্যান্য আইনজীবী, শিক্ষানবিশ আইনজীবী, আইনজীবী সহকারীদের উপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানায় শুক্রবার (২১ জুলাই) হামলার শিকার বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বাদী হয়ে মামলটি দায়ের করেন। যার কক্সবাজার সদর থানা মামলা নম্বর : ৪১ এবং জিআর মামলা নম্বর : ৩৮৬/২০২৩ ইংরেজি (সদর)।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (পিপিএম) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, মামলায় মসজিদ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাদের মৃত নজীর আহমদ চৌধুরীর পুত্র এস.এম মঞ্জরুল হক (৫৮) সহ ৯ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী এবং ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। হামলায় আহত ৫ জন আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী সহ ৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আরো জানান, মামলায় হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আঘাত করে কাটা জখম ও চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ১১৪/৩০৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩৭৯/৩৪ ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলার পর গত ২০ জুলাই ঘটনাস্থল থেকে ধৃত আসামীদের থানা থেকে আদালতে চালান দেওয়ার পর বিচারক তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজে অনিয়ম, নিম্নমানের কাজ করা, ড্রয়িং, ডিজাইন ও সিডিউল মতে কাজের মান রক্ষা না করার বিষয়ে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান গত ২০ জুলাই বিকেল ৩ টার পর নির্মাণাধীন মসজিদ কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁর উপর ঠিকাদার এস.এম মঞ্জরুল হক সহ ৩০/৩২ জন সন্ত্রাসী সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান আকুতি জানালে তখন অন্যান্য আইনজীবী, শিক্ষানবিশ আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী, স্থানীয় জনগণ ছুটে আসলে তাদের উপরও হামালাকারীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান সহ ৭ জন আহত হয়।
পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ঠিকাদার এস.এম মঞ্জরুল হক সহ ৬ জন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে এবং আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেন।
এ ঘটনায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে পুরো কক্সবাজারে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠে।