কাঁচা পাট ক্রয় আয়কর থেকে অব্যাহতি থাকা সত্ত্বেও আয়কর দাবি করে জারি করা দাবিনামার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কাঁচা পাট ক্রয় আয়কর থেকে অব্যহতি থাকা সত্ত্বেও আয়কর দাবি করে দাবিনামা জারির কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৪ আগস্ট বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার এম এস কাউসার।
বাংলাদেশের জুট মিলগুলো যখন একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ও পাটের উৎপাদন যখন দিনে দিনে কমে যাচ্ছে এবং পাট পণ্য রপ্তানির উপর ভারত দ্বারা যখন এন্টিডাম্পিং এর মত করারোপ হওয়াতে যখন রপ্তানি হুমকির মুখে পড়ছে, তখন জুট মিলগুলো দ্বারা কাঁচা পাট ক্রয়ে আয়কর দেয়া সত্যিই কষ্ট সাধ্য হয়ে গিয়েছিল। সরকার যখন পাট শিল্পকে প্রণোদনা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখছিল, তখন কাঁচা পাট ক্রয়ে আয়কর বাড়তি বোঝা বৈ কিছুই নয়।
যদিও অকুস্থলে কাঁচা পাট ক্রয় আয়কর থেকে অব্যহতি ছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক সাধারণ আদেশের মাধ্যমে, তবুও রাজস্ব বোর্ডের এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে আয়কর দাবি করে দাবিনামা জারী করেন এক জুট মিলের বিরুদ্ধে। সে জুট মিল সংক্ষুব্ধ হয়ে এক রিট দায়ের করেন। গত ১৪ আগস্ট সে রিটের উপর শুনানী হয় এবং রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল সহ স্থগিতাদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী খন্দকার এম এস কাউসার। তিনি বলেন, একই বিষয়ে আগে আরেক জুট মিলের পক্ষে তিনি রুল এবং স্থগিতাদেশ পেয়েছিলেন। পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে পাটের উপর থেকে এ ধরনের আয়করের বোঝা সড়ানো খুব জরুরি। আমরা সবাই মিলে পাট কে বাঁচাতে হবে এবং পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে হবে।
উল্লেখ্য, আইনজীবী এম এস কাউসার ভারতের বিরুদ্ধে পাট পণ্যের উপর আরোপিত এন্টিডাম্পিং মামলায় নিয়োজিত বাংলাদেশী আইনজীবী প্যানেলের মুখপাত্র ছিলেন। তিনি প্যানেল ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের আইনের অধিন কোন এন্টি ডাম্পিং মামলায় নিয়োজিত প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশী প্যানেল আইনজীবী ছিলেন।