ড. ইউনূসের মামলা আপসে ১২ কোটি টাকা লেনদেন, প্রশ্ন হাইকোর্টের
হাইকোর্ট ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস

শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ, মামলা চলবে

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা স্থগিত চেয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে মামলাটি চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ রোববার (২০ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেছিলেন।

এ আদেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আপিল শুনানির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয়নি তাকে।

তবে পক্ষে রায় আসায় সন্তুষ্ট কলকারখান ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, সূর্য ওঠা থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত সময় দেয়া যাবে না। আগামী মঙ্গলবার থেকে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

গত ৬ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা ইসলাম। এরপর ২১ জুন অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস।

২৩ জুলাই মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। কিন্তু গত ৮ আগস্ট জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর গত ১০ আগস্ট চেম্বার আদালতে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন ড. ইউনূস।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

মামলায় ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন না করা এবং কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের না দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।