চেক জালিয়াতির মিথ্যা মামলা দায়ের করায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীসহ দুইজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালতের-১ বিচারক মো. জাকির হোসাইন বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের মৃত ছমেদ আলীর ছেলে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী আতর আলী এবং একই গ্রামের ছমর উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্ট্যানো মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, আতর আলী ও সালাহ উদ্দিন পইল গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে মধু মিয়ার বিরুদ্ধে গত ১৭ জানুয়ারি একটি চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো. নূর হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আতর আলী ও মধু মিয়া উভয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী। মধু মিয়া তার বোনের বিয়ে উপলক্ষে বছরে ২৫ হাজার টাকা সুদ দেওয়ার শর্তে আতর আলীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এ সময় তিনি নিজের স্বাক্ষর করা একটি চেকও দেন।
মধু মিয়া ঋণ নেওয়ার সময়েই সুদের পাঁচ হাজার টাকা শোধ করেছিলেন। কিন্তু বাকি ২০ হাজার টাকা সময়মতো শোধ না করায় মামলার সিদ্ধান্ত নেন আতর আলী।
আতর আলী যেহেতু সরকারি কর্মচারী সেজন্য তিনি চেকের ওপরে সালাহ উদ্দিনের নাম লিখে পাঁচ লাখ টাকা বসিয়ে ব্যাংকে নিয়ে যান। পরে সালাউদ্দিন বাদী করে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। এতে সাক্ষী হয়েছিলেন আতর আলী।
আদালতের স্ট্যানো মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন বলেন, চেকের ওপর লেখাগুলো আলাদা কলমের বলে আদালতে প্রমাণ হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনেও মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এসব বিবেচনায় আদালত মিথ্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।