'বার-বেঞ্চের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এমন আচরণ থেকে বিচারকদের বিরত থাকতে হবে'
বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন

‘বার-বেঞ্চের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এমন আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে’

বার ও বেঞ্চের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এমন আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আমাদের আচরণ ঠিক করতে হবে। আমরা এমন আচরণ করব না যাতে বার ও বেঞ্চের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন বলেন, বার এবং বেঞ্চ সব সময় সমন্বয় করে কাজ করা উচিৎ। একটি পাখির যেমন দুটো ডানা থাকে, তেমনি বিচারের ক্ষেত্রেও বার এবং বেঞ্চ একই রকম।

তিনি বলেন, একটি পাখি দুটো ডানা ছাড়া যেমন পাখি উড়তে পারে না, তেমনি বিচারাঙ্গণে বার এবং বেঞ্চের সম্পর্ক ভালো না থাকলে কাজ করতে পারে না। তাই বার ও বেঞ্চ সমন্বয় করে কাজ করতে হয়।

তিনি বিচারকের উদ্দেশ্য বলেন, আমি একটি ম্যাসেজ দিতে চেষ্টা করেছি। তোমাদের নিয়োগ করা হয়েছে সাধারণ মানুষের দ্রুত বিচার পৌঁছে দেওয়ার জন্য। বিচার বিভাগের সম্মান আপনারা রাখবেন।

বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন বলেন, দেশে ৩০ লাখ মামলা পেন্ডিং আছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি ৮টি মনিটরিং কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। আমি রংপুরের দায়িত্বে আছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আচরণ ঠিক করতে হবে। আমরা এমন আচরণ করব না যাতে বার ও বেঞ্চের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন বলেন, বরগুনা বারে এসে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি এজলাসে দেখেছি বারের সদস্যরা বিচার কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান বাহাদুরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রফিকুল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মশিউর রহমান খান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এএফএম মেজবাহ উল হকসহ জজশিপের বিচারক ও আইনজীবীরা।

সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রফিকুল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এএফএম মেজবাউল হক, আইনজীবী সমিতির সদস্য মজিবুল হক, সরকারি উকিল (জিপি) মো. মজিবর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভুবন চন্দ্র হাওলাদার, আবদুল হামিদ, আবদুর রহমান, এমডি আনিসুর রহমান, আবদুল মোতালেব মিয়া প্রমুখ।

এর আগে বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন বরগুনা বারে পৌঁছলে বারের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাহাদুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বারের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল হক।