ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে রেলওয়ে কমিটির প্রস্তাবিত অতিরিক্ত ভাড়া আরোপের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। নোটিশে ভাড়া কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অভিজিৎ বিশ্বাস বুধবার (১১ অক্টোবর) এ নোটিশ পাঠান। রেল মন্ত্রণায়ের সচিব, বাংলাদেশের রেলওয়ের মহাপরিচালক, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা, রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের নন এসি চেয়ারের প্রস্তাবিত ভাড়া ৩৫০ টাকা এবং এসি চেয়ারের প্রস্তাবিত ভাড়া ৬৬৭ টাকা। কিন্তু ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ভাড়া লাগে ৩৪৫ টাকা এবং এসি চেয়ারের ভাড়া ৬৫৬ টাকা।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গার দূরত্ব মাত্র ৭৭ কিলোমিটার, যেখানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। সে হিসেবে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটের দূরত কম হওয়ায় ভাড়াও কম হওয়ার কথা, কিন্তু দুঃখজনকভাবে ঢাকা- চট্টগ্রাম রুটের থেকেও বেশি ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, বর্তমানে প্রতি কিলোমিটারে এসি চেয়ারের ভাড়া ১.৯৫ টাকা এবং নন এসির ভাড়া ১.১৭ টাকা। সে হিসেবে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটারে দূরত্বে ভাড়া হওয়া উচিত নন এসিতে ৯০ টাকা এবং এসিতে ১৫০.১৫ টাকা।
কিন্তু প্রস্তাবিত ভাড়া এই ভাড়ার চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। গত ২৪ সেপ্টেম্বর গঠিত রেলওয়ে কমিটি যে ভাড়া আদায়ের প্রস্তাবনা করেছে, তা নিঃসন্দেহে জনস্বার্থবিরোধী।
নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি অ্যাডভোকেট অভিজিৎ বিশ্বাস নিজেই ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পদ্মা রেল-সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে চলাচলকারী ট্রেনে প্রস্তাবিত জনপ্রতি ভাড়া পুনর্বিবেচনা করে ভাড়া কমানোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। অন্যথায় আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।