সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অফিস, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রাতের বেলা আবাসিক এলাকায় যে কোনো ধরনের হর্ন বাজালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
সম্প্রতি বিআরটিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট মোটরযান মালিক ও চালকদের জানানো যাচ্ছে যে, অতিমাত্রায় শব্দদূষণের ফলে মানুষের বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। শব্দদূষণের কারণে কানে কম শোনা, আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা এবং মনোসংযোগ নষ্টসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যার পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাত, গর্ভস্থ বাচ্চা বধির বা প্রতিবন্ধী/বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর জন্ম হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
শব্দদূষণ যে কোনো মানুষের জন্য ক্ষতিকর, বিশেষ করে শিশু ও নারী, ট্রাফিক পুলিশ, রিকশা বা গাড়িচালক, রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ, শব্দের উৎসের নিকটস্থ শ্রমিক বা শহরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ অধিক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতাল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যথাক্রমে রোগী এবং শিক্ষার্থীরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।
আরও বলা হয়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা-৪৫ (৩) অনুযায়ী সরকার বা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার আদেশে ঘোষিত নীরব এলাকা অতিক্রমকালে কোনো মোটরযান চালক কোনো ধরণের হর্ন বাজাতে পারবেন না।
এর ব্যত্যয় হলে আইনের ধারা-৮৮ অনুযায়ী অনধিক ৩ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। মোটরযান চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসেবে দোষসূচক ১ পয়েন্ট কাটার বিধান রয়েছে।
এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট মোটরযান মালিক ও চালকগণকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অফিস, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রাতের বেলা আবাসিক এলাকায় যে কোনো ধরনের হর্ন না বাজানোর জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
অন্যথায়, প্রচলিত আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।