গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করতে যাচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, গ্রাম আদালতের আর্থিক ক্ষমতা (জরিমানা করার ক্ষমতা) ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানসহ পাঁচ জনের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “কোনো সময় একজন অনুপস্থিত থাকলে আদালতের সদস্য সংখ্যা চারজন হয়ে যায়। তখন ভোটাভুটি হলে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা রাখা হয়েছে।”
এছড়া আগের আইনের কয়েকটি জায়গায় থাকা ‘নাবালক’ শব্দটি বদলে ‘শিশু’ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সর্বশেষ গ্রাম আদালত আইন, ২০১২ (সংশোধনী) প্রস্তাবের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ ছাড়া আদালতে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়।
প্রসঙ্গত, গ্রাম আদালত হলো গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় গঠিত আদালত। গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে ২৫ হাজার টাকা মূল্যমানের দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে এ আদালত বসে।
গ্রাম আদালতে বিচারযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে বিবাদের যে কোনো পক্ষ বিচার চেয়ে গ্রাম আদালত গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ৪ টাকা (দেওয়ানি মামলা হলে) অথবা ২ টাকা (ফৌজদারি মামলা হলে) ফি দিয়ে আবেদন করতে পারেন।
গ্রাম আদালতের এখতিয়ারসম্পন্ন মামলা অন্য কোনো আদালত গ্রহণ করতে পারে না। গ্রাম আদালতে মামলা করলে কোনো আইনজীবী লাগে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গণ্যমান্য বিচারকের উপস্থিতিতে এ আদালত বসে।
এই আদালতের বিচারক সংখ্যা ৫ জন। দুই জন মনোনীত সদস্য থাকবেন আবেদনকারীর পক্ষে এবং দুই জন সদস্য হবেন প্রতিবাদীর পক্ষে। যার মধ্যে একজনকে অবশ্যই হতে হবে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এই বিচার অনুষ্ঠিত হয়।