রাশেদুল হক খোকন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নিয়মিত প্র্যাকটিশনার। নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় তাঁর জন্ম। স্থানীয় মহেশখালী আইল্যান্ড উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং মহেশখালী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পাশপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ২০০৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর অধস্তন আদালতে আইন পেশা পরিচালনার অনুমতিপ্রাপ্ত হন। ২০১৩ সালের হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০২৩ সালে আপিল বিভাগে মামলা পরিচালনার অনুমতি পান।
আসন্ন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২০২৫ বর্ষের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত প্যানেলে কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী তিনি। সম্প্রতি তাঁর মুখোমুখি হয়েছিল ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম। একান্ত সাক্ষাৎকারে এই আইনজীবী জানিয়েছেন নির্বাচিত হলে আইনজীবী ও সমিতির কল্যাণে তাঁর বিশেষ পরিকল্পনার কথা।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : আসন্ন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে আপনি প্রার্থী হয়েছেন, বার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কেন? এক্ষেত্রে কোন অনুপ্রেরণা কাজ করেছে কিনা?
রাশেদুল হক: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সদস্য হিসেবে প্রার্থী হয়েছি মূলত আইনজীবীদের সার্বিক কল্যাণের জন্য যতদূর সম্ভব নিজেকে নিয়োজিত রাখার জন্যই। আইনজীবী সমিতির কার্যনিবার্হী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আইনজীবীদের জন্য কাজ করার এবং এর সদস্য হিসেবে নির্বচিত হলে একটি সুযোগ মিলবে নিজেকে আত্মউৎসর্গ করার। আমাদের সিনিয়র এবং প্রতিথযশা আইনজীবীগণের বেশিরভাগই আইনজীবী সমিতির কার্যনিবাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন এবং তাঁরা আইনজীবীদের সার্বিক কল্যাণ এবং উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন এবং মূলত সিনিয়রগণই আমার অনুপ্রেরণার উৎস।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : নির্বাচনে বিজয়ী হলে সমিতি ও আইনজীবীদের কল্যাণে আপনার বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে কি?
রাশেদুল হক: সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলে সদস্য হিসেবে যতটুকু এখতিয়ার আছে এবং সুযোগ আছে এর মধ্য থেকে কাজ করার চেষ্টা করব বিশেষ করে আইনজীবীদের কিউবিক্যালস সমস্যা, ক্যান্টিনের সুযোগ সুবিধা, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোসহ আধুনিক লাইব্রেরী এসব বিসয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে ।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আইনজীবীরা মাঝেমধ্যেই নানাবিধ হুমকিসহ শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠনের নেতৃত্ব পেলে আইনজীবী সুরক্ষার জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করবেন কিনা?
রাশেদুল হক: আইনজীবীদের সুরক্ষার বিষয়িটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রায়ই দেখা যায় আইনজীবীবৃন্দ পেশাগত কাজ করতে গিয়ে হয়রানির এবং হামলার শিকার হন । এর জন্য আইনজীবীদের সুরক্ষার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপেরে জন্য কাজ করা জরুরী। এ কারণে বিশেষ আইন প্রণয়নে যথাযথ ফোরামে প্রস্তাব তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে আইনজীবীদের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?
রাশেদুল হক: যুগেই যুগেই আইনজীবীরা সমাজ ও রাষ্ট্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আইনজীবীরাই সমাজের সবেচেয়ে সক্রিয় অংশ। সমাজের নানান স্তরে আইনজীবীরা অবদান রেখে চলেছেন। আইন প্রণয়নে সবোর্চ্চ স্তরে আইনজীবীরাই সক্রিয় ভূমিকায় থাকেন এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীগণ অবদান রেখে চলেছেন।