চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৪১টি ওয়ার্ডে মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ, স্প্রে ম্যান-ফগার মেশিন বৃদ্ধি, অ্যাডাল্টিসাইডের সংকট নিরসন ও নিয়মিত মনিটরিং সহ সর্বোপরি মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আবেদন করা হয়েছে।
জনস্বার্থে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মশক নিয়ন্ত্রণ শাখার ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার নিকট এ আবেদন জানান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রিদুয়ান। সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফোরকান হক, অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন, অ্যাডভোকেট ফজলুল সাব্বির অভি, অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন, মঈন উদ্দিন আহমেদ ও শওকত হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, বর্তমান সময়ে চট্টগ্রামবাসীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মশার উপদ্রব। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামবাসী। দৈনিক সমকালে গতকাল ২৭ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী গত এক বছরে চট্টগ্রামে শুধুমাত্র ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ সহস্রাধিক ব্যক্তি।
নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ‘অনেক দিন ধরেই মশক নিধনের দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।’ চসিকের ব্যর্থতায় নগরীর অনেক এলাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফগার মেশিন ক্রয় ও মশার ঔষধ ছিটানো হচ্ছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মশার লার্ভা মারার, ঔষধ ছিটানো এবং মশা মারার ধোঁয়ার ঔষধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিত সেবকদের মূল কাজ থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। তাদের দিয়ে আবর্জনার গাড়ী, নালা পরিষ্কার এবং ঝাড়ু দেওয়ার কাজ করানো হচ্ছে
চসিক -এর আরো এক কর্মকর্তা বলেন, মশার লার্ভা মারার জন্য পর্যাপ্ত ঔষধ থাকলেও অ্যাডাল্টিসাইডের কিছুটা সংকট রয়েছে।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় এই সমস্যা নিয়ে নিয়মিত পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি, সোশ্যাল মিডিয়ায় নগরবাসীরা পোস্ট ও মেয়রের অফিসিয়াল পেইজে নিয়মিত কমেন্ট করলেও মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
এমতাবস্থায় বর্তমান নগরবাসীর সবচেয়ে বড় এই সমস্যাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয় আবেদনে।