গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা বাড়িয়ে আইন সংশোধন করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, গ্রাম আদালত সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। এর আগে এটি ছিল সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা।
এ-সংক্রান্ত ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪’ জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার (৭ মে) পাস হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ এমপি সাঈদ খোকনের
বিলের তফসিলে সাত ধরনের দেওয়ানি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব বিষয় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য হবে। সেগুলো হলো-
- কোনো চুক্তি রসিদ বা অন্য কোনো দলিলমূল্যে প্রাপ্য অর্থ আদায়;
- কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের মামলা;
- স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা;
- কোনো অস্থাবর সম্পত্তির জবরদখল বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা;
- গবাদিপশু অনধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা;
- কৃষিশ্রমিকদের পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা এবং
- বকেয়া ভরণপোষণ আদায়ের জন্য স্ত্রীর মামলা।
বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয় পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষের মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে।
আরও পড়ুন: সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদায় উন্নীত হলেন অধস্তন আদালতের ৫ বিচারক
এ ছাড়া ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ যুক্ত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবে। চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।