মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে প্যারাবন কেটে সরকারি জমি দখল করে চিংড়িঘের তৈরি করার অভিযোগে ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক ফাইজুল কবির বাদী হয়ে গত সোমবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারভুক্ত ২৬ জন আসামীর সকলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রভাবশালী নেতাকর্মী ও সমর্থক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
কক্সবাজার জেলার মহশেখালী উপজলোর প্রতিবেশ সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা সোনাদিয়া দ্বীপের ঘটি ভাঙা মৌজার বহদ্দার খালের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ২টি স্পট (জিপিএস পয়েন্ট), বহদ্দার খালের শেষ মাথা ২টি স্পট (জিপিএস পয়েন্ট), মোছখালী খালের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ২টি স্পট (জিপিএস পয়েন্ট) এবং সোনাদিয়া পশ্চিম পাড়ায় ১টি স্পটে (জিপিএস পয়েন্ট) হাজার হাজার বাইন গাছ কেটে অভিযুক্তরা কয়েক হাজার একর সরকারি জমি দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করেছে।
এ নিয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর দীর্ঘদিন নিশ্চুপ থাকলেও গত ৮ জুলাই মামলা দায়ের করে সরকারি এই সংস্থাটি ২৬ জন বন খেকোদের আইনের আওতায় আনে।
মামলার আসামিরা হলেন- মহেশখালীর সোনাদিয়ার ২নং ওয়ার্ডের খলিলুর রহমানের পুত্র সাবের আহমেদ (৪৮), বড় মহেশখালীর ফকিরাঘোনার মৃত আনোয়ার পাশার পুত্র মহসিন আনোয়ার (৫০), ঘটিভাঙার ওসমান আলী (৬১), পশ্চিম ফকিরাঘোনার জসিম উদ্দীন (৪০), জাগিরাঘোনার মোস্তাক আহমেদের ছেলে সাজেদুল করিম (৪৫), ঘটিভাঙার মৃত নেজাম আলীর ছেলে রবিউল আলম (৪২), সোনাদিয়া পূর্বপাড়ার মোজাফর আহমেদের ছেলে মো. ফারুক (৪১), জাহাঙ্গীর আলম (৪২), জাফর আলম (৬০), মো. তারেক (৩৫), আমিরুজ্জামান (৬২), সাজ্জাদুল করিম (৩৮), নুরুল আমিন খোকা (৪১) (সাবেক মেম্বার), মো. ছিদ্দিক রিমন (৩৯), শাহাদাত কবির (৪৫), সোনামিয়া (৩৭), নুরুল আমিন (সাবেক চেয়ারম্যান) (৬২), শহিদুল্লাহ সিকদার (৬৮), মো. নেজাম (৪৩), আমির হোসেন (৫৪), নাসির উদ্দিন (৫০), শফি আলম (৪৫), মো. আলম শরিফ (৪৭), জয়নাল আহমদ (৪৫), আমির হোসেন (৪৮) এবং আজিজুল হক (৪৬)।
মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটির পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে।