জাল নোট রাখার অভিযোগে দুই জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোয় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নয় সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দেন ঢাকার একটি আদালত। এই চিঠির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন ওই নয় পুলিশ সদস্য।
ডিবির ওই নয় সদস্য হলেন- পরিদর্শক তপন কুমার ঢালী, উপ-পরিদর্শক দেওয়ান উজ্জল হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক জিয়াউর রহমান, সোহেল মাহমুদ, আবুল বাশার, মমিনুল হক, নাজমুল হক প্রধান, কনস্টেবল নয়ন কুমার ও গোলাম সরোয়ার।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুছ জামান ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ছিল। কিন্ত অন্য মামলায় শুনানির ফলে এ মামলাটি রোববারের তালিকায় আসবে।
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রাজধানীর পল্টনে হোটেল বন্ধুতে অভিযান চালিয়ে সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা হোটেলের ব্যবস্থাপক হাসান মজুমদার এবং হোটেলের শেফ সোহেল রানাকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন ডিবির একজন উপ-পরিদর্শক।
পুলিশের এফআইআরে এ ঘটনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন বিবরণ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ২৫ লাখ টাকার জাল নোট নিয়ে পালানোর সময় ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফকিরাপুল এলাকা থেকে ডিবি দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৭ সালে হোটেলে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের একজন এবং এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক দেওয়ান উজ্জল হোসেন অভিযোগ গঠন করেন হাসান ও সোহেলের বিরুদ্ধে।
হাসানের অভিযোগ, অভিযানের সময় ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তিন লাখ টাকা দাবি করেন এবং এই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা তথ্য এফআইআর লেখা হয়েছে।
২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হাসান মজুমদার এবং সোহেল রানাকে জাল ব্যাংক নোট রাখার মামলা থেকে খালাস দেন আদালত।
আদালতের নথি অনুযায়ী, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাহসিন ইফতেখারের আদালত তাদের দুজনকে খালাস দেন।
হোটেলের ব্যবস্থাপক হাসান মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য ছিল। কিন্ত অন্য মামলায় শুনানির ফলে এ মামলাটি রোববারের তালিকায় আসবে।