সমাজের আমূল পরিবর্তন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। কারাগারে চিকিৎসক সংযুক্তির অগ্রগতিবিষয়ক শুনানিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (২৮ জুলাই) এ মন্তব্য করেন।
শুনানির এক পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘পুলিশ আক্রান্ত হয়। আবার পুলিশের গুলিতে মানুষ মারা যায়—গণমাধ্যমে এসেছে। এ দেশের মানুষ পুলিশকেও সেভাবে সম্মান করে না। পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রাখে। চিন্তা করতে পারেন! কত নৃশংস! আমাদের সমাজটা আমূল পরিবর্তন দরকার। আমাদের শিক্ষকেরা (শিক্ষার্থীদের) উসকে দেয়।…শিক্ষকেরা দলীয় কারণে বিভক্ত। তারা (শিক্ষার্থী) শিখবে কার কাছ থেকে?’
দেশের কারাগারে বন্দীর ধারণক্ষমতা, বন্দীর পরিসংখ্যান, চিকিৎসকের সংখ্যা ও চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন ২০১৯ সালে রিট করেন।
শুনানি নিয়ে একই বছরের ২৩ জুন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে (১৪ জুলাই) কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। কারাগারে চিকিৎসকের ১৪১টি অনুমোদিত পদ থাকলেও ১২১ জন চিকিৎসক কর্মরত বলে উল্লেখ করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মো. জে আর খান নিজে শুনানি করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল ও কারা অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম শুনানিতে ছিলেন।
পরে আইনজীবী জে আর খান বলেন, শূন্য ২০টি পদে আগামী এক মাসের মধ্যে চিকিৎসক দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।