বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাতে আসা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
টবি ক্যাডম্যান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার আইনজীবী, প্রত্যর্পণ বিশেষজ্ঞ এবং লন্ডন ভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বিদেশে পাচার হওয়া শতকোটি ডলার দেশে ফিরিয়ে আনা।
সৌজন্য সাক্ষাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং টবি ক্যাডম্যান ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থনে একটি দেশীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ক্যাডম্যানকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বাংলাদেশকে দ্রুত সত্য, ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার জন্য যথাযথভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশের জনগণ দ্বারা সমর্থিত একটি কার্যকর অভ্যন্তরীণ আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
টবি ক্যাডম্যান প্রধান উপদেষ্টার কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং রাজনৈতিক দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণের জন্য একটি কাঠামো তৈরির প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করতে প্রস্তুত, যারা অসদুপায়ে অর্জিত সম্পদ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা তার প্রস্তাব শুনেন এবং তাকে লিখিতভাবে তা দাখিল করতে বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের সময় যারা গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিল ও পরিচালনা করেছিল, তাদের আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারের ব্যাপারে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।