চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামি চন্দন দাস।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়।
এদিন আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে আদালতে আসামি চন্দন দাস স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামি চন্দন দাস আলিফ হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে চন্দন দাসকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে হাজির করা হয়। জবানবন্দি শেষে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদক ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আইন উপদেষ্টা
এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার পর তার হাজারের বেশি অনুসারী প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে কর্মস্থল আদালতপাড়া থেকে বাসায় ফেরার পথে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন চিন্ময় অনুসারীরা।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২৯ নভেম্বর ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অন্তত ১৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়। মামলাটি দায়ের করেন আলিফের বাবা জামাল উদ্দীন। সেই মামলায় প্রধান আসামি চন্দন দাস।
তিনি বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার মৃত ধারীর ছেলে এবং চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীর সমর্থক। পরে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে চন্দন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর চন্দনকে সাতদিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় পুলিশ। গত ৬ ডিসেম্বর তার রিমান্ডের আদেশের দিন আরেক আসামি রিপন দাশকেও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিপন এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও একটি ভিডিওতে তাকে নীল গেঞ্জিতে দেখা গেছে।
তাই চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে তাকে ৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার পুলিশ। এই মামলায় আগেই গ্রেপ্তার ৯ আসামিকে গত ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছিলেন।