প্রেমিকার খোঁজে বাংলাদেশের হাইকোর্টের দ্বারস্থ মার্কিন যুবক

প্রেমিকার খোঁজে বাংলাদেশের হাইকোর্টের দ্বারস্থ মার্কিন যুবক

বান্ধবীকে ফিরে পেতে হারুন আসাদ মির্জা নামে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের এক মার্কিন তরুণ বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন। করেছেন রিট। তরুণের আবেদনে ওই তরুণীর বক্তব্য শুনতে চেয়েছেন আদালত।

আগামী ২৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় মা-বাবসহ ওই তরুণীকে হাইকোর্টে হাজির করতে কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আইনজীবীরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কক্সবাজার সদর উপজেলার অষ্টাদশী এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার। এরপর দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তবে সম্পর্কের বিষয়টি তরুণীর পরিবার জেনে যাওয়ায় বাধে বিপত্তি।

পরিবারের চাপে এক পর্যায়ে আসাদ মির্জার সঙ্গে ওই তরুণীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তরুণীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণ বাংলাদেশে ছুটে আসেন।

সম্প্রতি মার্কিন ওই যুবক বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করেও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পেরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তরুণীর বক্তব্য শুনতে চান।

রুলে বাংলাদেশি ওই তরুণীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা কেনো আইনবহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ।

এ আইনজীবী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার সঙ্গে বাংলাদেশের এক অষ্টাদশী তরুণীর পরিচয় হয়; বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি তরুণীর পরিবার মেনে নেয়নি।

এক পর্যায়ে পরিবার জোর করে যোগাযোগের সব ধরনের ডিভাইস কেড়ে নেয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে জোরপূর্বক আটকে রাখা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা, স্বাধীনভাবে চলাচল করতে না দেওয়া, বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা এবং বেআইনিভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা অন্যায়। এ কারণে ওই তরুণীর মার্কিন বন্ধু হেবিয়াস কর্পাস আইনে চলতি মাসে শুরুর দিকে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।